নিশ্চয় তিনি আল্লাহ, তিনি প্রজ্ঞাবান। {আল্লাহ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্টতম বিচারক নন?}
[সূরা: আত-তীন, আয়াত: ৮।]
তিনি প্রজ্ঞাবান।
হাকিম ঐ সত্তা যিনি সব কিছুর জ্ঞান রাখেন এবং তা আয়ত্ত করেন। তিনি প্রত্যেক বস্তুকে তার যথাস্থানে স্থাপন করেন।
তিনি প্রজ্ঞাবান।
শরীয়ত এবং তাঁর সৃষ্ট প্রকৃতি, প্রজ্ঞার ভিত্তিতেই বিধিবদ্ধ ও প্রচলিত হয়েছে। সুতরাং যেকোন ব্যাপারে তাঁর বিধান প্রবর্তন প্রাজ্ঞতার ভিত্তিতেই হয়ে থাকে। সেসবে থাকে গুপ্ত রহস্য এবং ইহ ও পরকালীন উপকারিতা।
তিনি প্রজ্ঞাবান।
তাঁর ফায়সালা ও ভাগ্যলিখনের বেলায় প্রজ্ঞাবান। দরিদ্রকে দরিদ্র করার মাঝে, রুগ্নের রোগাক্রান্তের মধ্যে, দূর্বলের দূর্বলতায়, ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির রিক্ততা ও অনটনের ক্ষেত্রেও তিনি প্রজ্ঞাবান, এসবের পিছনেও কোন না কোন কল্যান ও তাৎপর্য নিহিত আছে। তাঁর কথা, কর্ম ও পরিকল্পনা কোন প্রকার ত্রুটি কিংবা স্খলনমুক্ত। মহান আল্লাহই কেবল সর্বোচ্চ প্রজ্ঞার অধিকারী।
তিনি প্রজ্ঞাবান:
যিনি তাঁর বান্দাদেরকে তাৎপর্য, প্রাজ্ঞতা, জ্ঞানগর্বতা এবং ধীরস্থিরতা এবং প্রত্যেক বিষয়কে তার যথাযথ স্থানে স্থাপন করার দীক্ষা দেন।
আল্লাহ তিনি আহকামুল হাকিমীন। সৃষ্টির কোন কিছুই তাঁর অনুমতি ব্যতীত সংঘটিত হয় না। হালাল কিংবা হারাম নির্ধারণ করার অধিকার কেবল তাঁরই । তিনি যা বিধিবদ্ধ করেছেন, সেটাই তাঁর নির্দেশ। আর যেসব বিষয়ে তিনি আদেশ-নিষেধ জারি করেছেন, সেগুলোই হলো তাঁর দ্বীন। তাঁর নির্দেশ পেছনে ঠেলে দেয়ার ক্ষমতা কারো নেই এবং তাঁর শক্তি ও ফয়সালার প্রতিহত করারও কেউ নেই।
তিনি প্রজ্ঞাবান।
তিনি কারো উপর জুলুম করেন না। তিনি তাঁর আদেশ প্রদানে, নিষেধ করনে এবং সংবাদ প্রদানে ইনসাফগার।
নিশ্চয় তিনি আল্লাহ, প্রজ্ঞাবান ও সর্বজ্ঞ।
হাকীম ঐ সত্তা যার সৃষ্টি ও নিদর্শনে রয়েছে মহা বিচক্ষণতা। কোন কিছুই তিনি অনর্থক সৃষ্টি করেননি এবং অহেতুক কোন বিষয়ের প্রবর্তন করেননি। হাকীম ঐ সত্তা শুরু এবং শেষ যার হুকুমের অধীন।