রব এমন সত্তা যার কোন উপমা নেই। তিনি তাঁর বান্দাদেরকে নেয়ামত দান করে কিছু দায়িত্ব অর্পণ করেছেন। তিনি সৃষ্টি ও নির্দেশের মালিক। কোন কিছুর সাথে সম্বন্ধ করা ব্যতিরেকে রব শব্দকে কারো জন্য ব্যবহার করা যায় না। যেমন 'রব্বুদ দার', 'রব্বুল মাল' ঘর বা সম্পদের মালিক। সম্বন্ধকরণ ছাড়া সাধারণ অর্থে রব শব্দ শুধু আল্লাহ তা'আলার জন্যই নির্ধারিত।
একজন ইলাহ ও মাবুদের প্রয়োজনিয়তার কথা জানার আগেই মানুষ তার পালনকর্তার প্রয়োজনিয়তা ও তাঁর প্রতি মুখাপেক্ষীতার বিষয়টি জানে এবং যেহেতু আখেরাতের সমস্যার সমাধানের আগেই দুনিয়ার সমস্যার সমাধানের মুখোমুখি মানুষ, সেহেতু আল্লাহকে মাবুদ হিসেবে স্বীকার করার আগেই রব বা পালনকর্তা হিসেবে স্বীকারোক্তি করার বিষয়টি চলে আসে।
'রব' এবং 'রুবুবিয়াহ' শব্দদ্বয় মাহাত্ম্যপূর্ণ কিছু অর্থের অধিকারী। যেমন- ক্ষমতা, রিজিক, সুস্থতা, তাওফীক, যথার্থতা ইত্যাদি। মহান রব্বুল আলামীন বলেন:
{যিনি আমাকে আহার এবং পানীয় দান করেন, যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন। যিনি আমার মৃত্যু ঘটাবেন, অতঃপর পুনর্জীবন দান করবেন।} [সূরা: আশ-শুরা, আয়াত: ৭৯- ৮১]