নাস্তিকতা হলো আল্লাহর অস্তিত্বকে অস্বীকার করা। এটা অসুস্থ চিন্তাধারা, ত্রুটিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি অথবা সত্য উপেক্ষা কিংবা নিছক অহংকারের কারণেই হতে পারে। স্বল্প বুদ্ধি, অশুদ্ধ চেতনা এবং অন্তর্জগতের কলুষতা নাস্তিকের নির্ভুল সিদ্ধান্ত নেয়ার যোগ্যতাকে নষ্ট করে দেয়। ফলে তার অন্তরে অন্ধত্ব সৃষ্টি হয় এবং শুধু বস্তুবাদী চিন্তা ও মানসিকতাই অবশিষ্ট থাকে। তখন সে বস্তুবাদী ধ্যন-ধারণা দিয়ে মানুষের বিশ্বাস ও আকীদাকে মূল্যায়ন করে। আর তাতেই সে হতভাগা ও পথভ্রষ্ঠ হয়ে পড়ে এবং মানুষকে নিছক সাধারণ জীব মনে করে ও মানুষের বেলায়ও কেবল জাগতিক নিয়ম কানুনই প্রযোয্য মনে করে।
এসব ধ্যন-ধারণা মানুষকে আত্মিক সৌভাগ্য ও মানসিক প্রফুল্লতা থেকে বঞ্চিত করে নিছক ভোগবাদিতা এবং নিরস ও অগভীর যুক্তির গোলাম বানিয়ে দেয়। একজন নাস্তিক কোন মাবুদের অস্তিত্বকে অস্বীকার করার ফলে সে যেকোন সময় যা খুশি বলে ও যা খুশি করে। কারণ তার মাঝে কোন মাবুদের ভয়ে যে কোন কাজ থেকে বিরত থাকা কিংবা তাঁর নির্দেশের কারণে কোন কাজ করার প্রবণতা থাকে না। এই চেতনা মানুষের স্বাভাবিক প্রকৃতিকে নষ্ট করে দেয়। তাছাড়া এতে আল্লাহর সঙ্গে কুফুরী ও অপাত্রের অনুকরণ তো হয়েই থাকে। এজন্য আল্লাহদ্রোহীদের মধ্যে অনেক বুদ্ধিজীবি, চিন্তাবিদ ও কবিরাও জীবনের কোন সঠিক দিশা না পেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। মানব ইতিহাসে এর নজীর ভুরিভুরি। বিভিন্ন গবেষনা এবং জরিপও এর সত্যতা নিশ্চিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (OHW) এর দুজন বিশেষজ্ঞ ড. জোছ মানুয়েল ও গবেষক এলিজান্দ্রার গবেষণায় আত্মহত্যার সাথে ধর্ম বিশ্বাসের বিষয়টি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িত সে কথাটি উঠে এসেছে। তারা এ মর্মে নিশ্চিত করেছেন যে, বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যাকারীদের বেশিরভাগ নাস্তিক বা ধর্ম অবিশ্বাসকারী। তাদের গবেষণার সংক্ষিপ্ত চিত্র নিম্নরূপ:
প্রতি (১০০,০০০)মানুষের মধ্যে ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে আত্মহত্যার হার।
আল্লাহর প্রতি ঈমানই হলো সর্বোত্তম ও সর্বশ্রেষ্ঠ আমল।-ইমাম শাফী রহ.